বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।

ডেস্ক নিউজ: 

তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন না ডনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন নিষিদ্ধ। রোববার এনবিসি’কে এক সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। তার ক্ষমতার প্রথম মেয়াদ এবং দ্বিতীয় মেয়াদ মিলে মোট আট বছরের প্রেসিডেন্সির মেয়াদ হচ্ছে। এ দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন- আমার প্রেসিডেন্সির মেয়াদ আট বছর হবে। আমি দুই দফায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছি। সব সময় মনে করি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ডনাল্ড ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৮ বছর। তিনি এর আগে বলেছিলেন, আমি কৌতুক করছি না যে, তৃতীয় এমনকি চতুর্থ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারি। পরে তিনি বলেন, ‘ফেক নিউজ মিডিয়া’কে ট্রল করতে ওই বক্তব্য দিয়েছেন। 

ওদিকে তার কোম্পানি ট্রাম্প অর্গানাইজেশন বিক্রি করছে ‘ট্রাম্প ২০২৮’ হ্যাট। এর ফলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে যে, ২০২৯ সালের জানুয়ারিতে তার দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতা শেষ হবে। এরপরও তিনি ক্ষমতায় থাকতে চান। রোববার প্রকাশিত এনবিসির ওই সাক্ষাৎকার ধারণ করা হয় শুক্রবার তার ফ্লোরিডার বাসভবনে। সেখানে ট্রাম্প বলেন, বহু মানুষ অনুরোধ করছেন প্রেসিডেন্ট পদে থেকে যেতে। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম শততম দিবস উদযাপনের কয়েকদিন পর ট্রাম্প বলেন- অনেক মানুষই চাইছেন আমি এটা করি। অর্থাৎ আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অনুরোধ করছেন অনেক মানুষ। তিনি বলেন, কিন্তু আমার জ্ঞাতসারে এটা অনুমোদিত নয়। আমি জানি না এটা সাংবিধানিক হবে কিনা। তিনি বলেন, অনেক মানুষ ২০২৮ হ্যাট বিক্রি করছে। এর অর্থ এই নয় যে, আমি আবার নির্বাচন করবো। 

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২২তম সংশোধনী বলে যে, কোনো ব্যক্তিই দুইবারের বেশি নির্বাচিত পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ফলে এই সংবিধানের অধীনে ট্রাম্প তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন করতে পারবেন না। যদি তাকে নির্বাচন আবার করতেই হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধন করতেই হবে। তাতে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে দেশটির রাজ্যপর্যায়ের সরকারগুলোর তিন-চতুর্থাংশের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। ট্রাম্পের অনেক সমর্থন মনে করেন, সংবিধানের ভিতরে ফাঁকফোকর আছে। এসব বিষয় আদালত পরীক্ষা করে দেখেনি। এসব বিষয়ে তাকে কিউ কেউ জানিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, বড় মাপের সমর্থকদের মধ্যে অনেক মানুষ থাকবেন। তারা এক একজন এক এক রকম কথা বলতে পারেন।  

ওই সাক্ষাৎকারে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। তিনি শুল্ক পরিকল্পনা প্রকাশ করার পর বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল হয়ে ওঠে। ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়। কিন্তু ট্রাম্প বলেন, দেখুন সবকিছুই ঠিক আছে। আমি বলেছি এটা হলো অন্তর্বর্তী একটা সময়। আমি তো খুব বেশি আশাবাদী। তার কাছে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে বলেই তো মনে হচ্ছে। জবাবে ট্রাম্প বলেন, যেকোনো কিছু হতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভাল অর্থনীতির দিকে যাচ্ছি আমরা। এ সময় তিনি বলেন, শুল্ক একটি স্থায়ী রূপ পেতে পারে।